У нас вы можете посмотреть бесплатно The Silent Sacrifice of Major Sinha Mohammad Rashed Khan | মেজর সিনহা | 3D Animation или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
This 3D animation is based on the true story of Major Sinha Mohammad Rashed Khan, showcasing his silent sacrifice. Experience a heartfelt tribute through a cinematic recreation that honors his legacy and sheds light on the events leading to his ultimate sacrifice. কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের, শিলখালী বিজিবি চেকপোষ্টে নিত্যদিনের মত দায়িত্বরত বিজিবি অফিসার । ঢাকা-মেট্রো গ সিরিয়ালের একটি রুপালি কার খুব স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে আসছে । পরিচয় জানতে অফিসার সামনে এগিয়ে আসতেই, জানালা খুলে গেলো, লম্বা চুলের এক ছেলে বসা । আরো কাছাকাছি যেতেই হঠাৎ খেয়াল করলেন, ভেতরে আর্মি পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি, অফিসার স্যালুট জানালেন । ভেতরে থেকে ড্রাইভিং সিটে বসা ভদ্রলোক পরিচয় দিলেন, তিনি একজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা । অফিসার সম্মানার্থে পুনরায় স্যালুট জানালেন । ৬. কুশল বিনিময় শেষে জানালেন তিনি কক্সবাজার এসেছিলেন, ভ্রমণ বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র তৈরী করতে; অফিসারের ৩য় স্যালুটের পর, গাড়ি এগিয়ে চললো সামনের দিকে । আরেক বিজিবি অফিসার স্যালুট জানালেন, ঢাকা-মেট্রো গ সিরিয়ালের একটি রুপালি কার নিয়ে চলতে শুরু করলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান । তখনও তিনি জানতেন না সামনে কী অপেক্ষা করছে । কক্সবাজার সদরের কলাতলী ডলফিন মোড়ের হোটেল ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্ট। কলাতলি বীচ থেকে দুরত্ব ৪০০ মিটার । পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে ৪-৫ মিনিট । তিন সহযোগী সহ এই রিসোর্টে ওঠেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান । উদ্দেশ্য ভ্রমণ বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র তৈরী করা । কলাতলির ডলফিন চত্তর থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে ইনানি বীচের পথে ১৩ কিমি এবং হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্র থেকে ৩ কিমি দূরে অবস্থিত নীলিমা রিসোর্ট । চারদিন পর, কাজের স্বার্থে নীলিমা রিসোর্টে ওঠেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান এবং তার টিম । তথ্য সংগ্রহ এবং ভিডিও চিত্র ধারোনের জন্য তারা যান টেকনাফে । এসময় ভুক্তভোগী অনেকেই মেজর সিনহা এবং তার টিমের কাছে ওসি প্রদীপের অত্যাচারের বর্ণনা দেন । বাংলাদেশের ইয়াবা জোন খ্যাত টেকনাফ জোনের অফিসার ইন-চার্জ, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ । অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাকে-তাকে তুলে আনেন থানায় । পরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন । তিনি টেকনাফের ওসি থাকাকালীন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে কমপক্ষে ১৪৫ জন। ক্রসফায়ার নিয়ে সংবাদ করায় এক সাংবাদিককে ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে । মেজর সিনহা এবং তার টিম কথা বলার চেষ্টা করেন ওসি প্রদীপের সংগে । ওসি প্রদীপ তাদেরকে এই কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য হুমকি দেন। তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। বলেন তিনি মেজর টেজর ধার ধারেন না। তিনি বহু সাংবাদিককে পিটিয়েছেন এবং জেলে পাঠিয়েছেন। তিনি তাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন এবং কক্সবাজার জেলা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এই সমস্ত ইউটিউব, ইন্টারভিউ, ভিডিও চিত্র বানিয়ে কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ও কর্তৃপক্ষকে জানালে মেজর সাহেব ও তাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন বলে হুমকি দেন। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় ওসি প্রদীপ বিষয়টি জানান বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে । ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং লিয়াকত আলী বৈঠক করেন, তার তিন সোর্সঃ মো. নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন এবং মোহাম্মদ আইয়াজ এর সাথে । সিফাতকে সঙ্গে নিয়ে হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্ট থেকে বের হয়ে যান সিনহা। নিজের গাড়ি চালিয়ে মুইন্না পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা দেন সিনহা। সেদিন পথঘাট ছিলো একেবারেই ফাঁকা। বেরোনোর সময় সিনহার পরনে ছিল কম্ব্যাট প্যান্ট আর টি-শার্ট, সঙ্গে ছিল ক্যামেরাসহ তার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। সবুজে ঘেরা মারিশ বনিয়া পাহাড়টি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত । ২.পাহাড় বেয়ে উঠতে গিয়ে ইমাম জহিরুলের সাথে সালাম এবং কুশল বিনিময় করেন সিনহা এবং সিফাত । পুলিশের তিন সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন এবং মোহাম্মদ আইয়াজ জানতে পারেন দুজন লোক ভিডিও করতে পাহাড়ে উঠেছেন। তাদের একজনের পরনে সেনাবাহিনীর মতো পোশাক রয়েছে । প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশ অনুযায়ী, ঐ তিন সোর্স সিনহা এবং তার সঙ্গীকে ডাকাত সাব্যস্ত করার ফন্দি আঁটেন । তারা প্রথমে মুইন্না পাহাড়ের কাছে দক্ষিণ মারিশবনিয়া জামে মসজিদের মাইকে ‘পাহাড়ে ডাকাত দেখা যাচ্ছে’ বলে ঘোষণা দেন। ঘোষণা শুনে লোকজন জড়ো হয়, কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা চলে যায়। রাত ৮টার দিকে পুলিশের তিন সোর্স মাথাভাঙ্গা মসজিদের ইমাম জহিরুলকে ডাকাতের ঘোষণা দিতে বলেন। বর্ণনা শুনে ইমাম জানান, যাকে ডাকাত বলা হচ্ছে তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর, পাহাড়ে ওঠার সময় তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। কাজ শেষে পাহাড় থেকে নেমে আসছিলেন মেজর সিনহা এবং তার সঙ্গী সিফাত । পুলিশের ঐ তিন সোর্স তাদের মুখে টর্চের আলো ফেলে নিশ্চিত হন, এদেরকেই খুঁজছেন ওসি প্রদীপ । তারা সিনহা আর সিফাতের পিছু পিছু মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত আসেন। সিনহা এবং সিফাত গাড়িতে ওঠেন । সোর্স নুরুল আমিন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে ফোন করে সিনহার বিষয়ে জানান যে, সিনহা গাড়ি চালিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছেন । মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বর্তমান অবস্থান থেকে নীলিমা রিসোর্টের পথের মাঝে রয়েছে বিজিবির চেকপোষ্ট সেখান থেকে ১১ কিমি দূরে রয়েছে এপিবিএন এর শামলাপুর চেকপোষ্ট । সোর্স নুরুল আমিনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ইন্সপেক্টর মোঃ লিয়াকত আলী সঙ্গে কোনো ফোর্স না নিয়েই এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের মোটরসাইকেলের পেছনে করে শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে হাজির হয়ে অস্ত্রসহ অবস্থান নেন। সিনহার গাড়িটি রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করে। ওই চেকপোস্টে সিনহার পরিচয় পেয়ে স্যালুট দিয়ে তাকে যেতে দেন বিজিবি সদস্যরা। মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের গাড়িটি শামলাপুর চেকপোষ্টে পৌছালে দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্য রাজীব গাড়িটি থামান । রাজীব পরিচয় জানতে চাইলে গাড়ির বাঁ-পাশের আসনে বসা সিফাত গাড়ির জানালা খুলে দেন ।