У нас вы можете посмотреть бесплатно | ট্রেনের দুঃস্বপ্ন সহচরের রহস্য | অন্ধকারের ট্রেন স্বপ্ন, মৃত্যু ও সহচর | সহচরের ছায়া | SAHACHAR | или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
#ট্রেনের দুঃস্বপ্ন: সহচরের রহস্য #অন্ধকারের ট্রেন: স্বপ্ন, মৃত্যু ও সহচর #সহচরের ছায়া #SAHACHAR সঙ্গী ভদ্রলোক হঠাৎ আবিষ্কার করলেন সামনের একখানা ছয়বার্থের সেকেন্ড ক্লাস রিজার্ভ করেছেন তাঁরই পরিচিত একদল এবং তাদের বার্থ খালি যাচ্ছে একখানা। খবরটা সংগ্রহ হতে-না-হতে হৈ-হৈ করে তিনি মালপত্র টেনে নামালেন। যাওয়ার সময় এক গাল হেসে বলে গেলেন, "ভালোই হ'ল মশাই আপনার। এখন আপনি একচ্ছত্র। বেশ সম্রাটের মতো ঘুমিয়ে যেতে পারবেন।" সম্রাট', একচ্ছত্র'- এ-সব ভালো কথা শোনবার আগেই আমি অনুমান করেছিলুম, বাইরের কার্ডে যার নাম ছিল, তিনি এ কালের একজন দিপাল সাহিত্যিক। আমি তাঁকে অবশ্য কখনও দেখিনি; কিন্তু তাঁর ছবির সঙ্গে এ ভদ্রলোকের চেহারারও সাদৃশ্য ছিল যথেষ্ট। তাই একখানা 'কুপে'তে ওপরের বার্থে এমন একজন ভয়ঙ্কর বিখ্যাত সঙ্গীকে নিয়ে ট্রেন যাত্রার কল্পনায় রীতিমতো শঙ্কিত ছিলুম আমি। সাহিত্য এবং সাহিত্যিক- দুটোকেই আমি নিদারুণ ভয় করি। আমি কাজ করি স্ট্যাটিসটিক্সে এবং এ কথা স্বীকার করতে লজ্জা নেই সংখ্যাতত্ত্বের কাছে রসতত্ত্বের স্বাদ অত্যন্ত জোলো বলে মনে হয় আমার কাছে। সারা ভারতবর্ষে বছরে কোন্ ভাষার কত বই ছাপা হয় তার হিসেব মোটামুটি একটা দিতে পারি, কিন্তু ঊর্ধ্ব লোকবিহারী সাহিত্যিক মহারথিটি যদি হঠাৎ জিজ্ঞাসা করেন তাঁর কী কী বই আমি পড়েছি-তা'হলেই গেছি। মানসাঙ্কে ফেল করা ছাত্রের মতো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া নাস্ত্যেব গতিরন্যথাঃ। কাজেই তিনি নেমে যেতে বেশ খানিকটা স্বস্তিই অনুভব করলুম- সন্দেহ কী! বেশ নিজের মতো বিছানা পেতে নিলুম- গুছিয়ে নিলুম জিনিসপত্র। তারপর আরাম করে হাত-পা ছড়িয়ে মুখাগ্নি করলুম সিগারেটে। হাওড়া থেকে যখন ট্রেনটা ছাড়ল- সেই স্বস্তির আমেজে তখনও ভরপুর হয়ে আছি। পর পর উল্কাবেগে যখন কয়েকটা স্টেশন ছিটকে বেরিয়ে গেল, তখনও। কিন্তু আলো নিভিয়ে শোওয়ার উপক্রম করতেই কি রকম একটা অদ্ভুত অশান্তি আমাকে পেয়ে বসল। হঠাৎ মনে হতে লাগল, আমি একা। শুধু এই ছোট কামরাটুকুর ভেতরেই নয়- এই বিরাট ট্রেনটাতে আমি একা ছাড়া আর কোথাও কোন যাত্রীই নেই। একটা অতিকায় ভুতুড়ে গাড়ি আমাকে নিয়ে একরাশ অজানা অন্ধকারের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কোথায় যাচ্ছে আমি জানি না, হয়তো গাড়িটারও সে-কথা জানা নেই। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমি উঠে বসলুম, আলো জ্বেলে দিলুম। আর তীক্ষ্ণ তীব্র আলোর একটা ঝাপটা চোখে এসে লাগবার সঙ্গে-সঙ্গেই অস্বস্তির ঘোরটা কেটে গেল। সত্যি কথা বলতে গেলে, হাসিই পেল আমার। সাহিত্যিকের সঙ্গগুণ আছে বটে। ভদ্রলোক আমার সহযাত্রী না হতেই তাঁর ব্যাধি এসে আমাকে ছুঁয়েছে- সঙ্গে থাকলে আর রক্ষা ছিল না দেখা যাচ্ছে। কী করে যে এসব উদ্ভট কল্পনা মাথায় এল- আশ্চর্য! একগ্লাস জল খেয়ে, একটা আলো জ্বেলে রেখে শুয়ে পড়লুম আবার। কিন্তু চোখের কাছে আলো জ্বললে আমার কিছুতেই ঘুম আসে না। বিরক্ত হয়ে আমি এপাশ-ওপাশ করতে লাগলাম। অথচ আলো নিবিয়ে দিতেও সাহস হচ্ছে না- পাছে আবার ওই সমস্ত এলোমেলো ভুতুড়ে ভাবনা আমাকে পেয়ে বসে। চোখের পাতা দুটোকে যথাসাধ্য চেপে ধরে প্রাণপণে ঘুমের সাধনা শুরু করলুম। Mmসেও মাত্র কিছুক্ষণের জন্যে। তার পরেই একটা নতুন ভাবনা আমাকে পেয়ে বসল। বড় বেশী জোরে যাচ্ছে নাকি গাড়িটা বড় বেশী অস্বাভাবিক স্পীডে? যতগুলো রেলওয়ে অ্যাক্সিডেন্টের খবর জানি একটার পর একটা মনে পড়ে যেতে লাগল সেসব। অন্ধকারের ভেতর দিয়ে অন্ধের মতো ছুটছে ট্রেনটা পার হয়ে যাচ্ছে ঘুমন্ত গ্রাম, শূন্য প্রান্তর, কালো জঙ্গল, নদীর পুল। এই নির্জন নিশীথ যাত্রা যেন ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। কে বলতে পারে কোথায় আলগা হয়ে আছে একটা ফিস প্লেট, কোথায় ব্রীজের পিলারে ধরছে ফাটল! মুহূর্তের ভেতরে লাইন থেকে ছিটকে পড়ে যেতে পারে ট্রেনটা, তারপর- আবার আমি নিজের ওপরে বিরক্ত হয়ে উঠলুম। কী আশ্চর্য- কেন এ সমস্ত অবান্তর অর্থহীন ভাবনা আমার! প্রতিদিন, প্রতিরাত এমনি অসংখ্য ট্রেন সারা ভারতবর্ষময় ছুটে বেড়াচ্ছে, তাদের ক'খানাতে অ্যাক্সিডেন্ট হয়? দুর্ঘটনা ঘটার ভয় আমার যত বেশী, তার চাইতেও বেশী রেল কোম্পানীর- যারা এই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের। কম করেও তিন-চারশো মানুষের প্রাণের দায়িত্ব যাদের হাতে, এ সব ভাবনা আমার চাইতে ঢের বেশীই ভাবছে তারা। আমি আবার উঠে পড়লুম। 'টয়লেটে' ঢুকে মাথায় চোখে ঠাণ্ডা জল দিলুম খানিকটা। একা গাড়িতে এভাবে চলবার অভিজ্ঞতা জীবনে আমার প্রথম নয়- যার জন্যে এই সমস্ত ছেলেমানুষী দুশ্চিন্তা আমাকে পেয়ে বসবে। কোনো কারণে মাথা গরম হয়ে গেছে, তাই এই কাণ্ড। দুটো পাখারই রেগুলেটার পুরো ঠেলে দিয়ে গাড়ি অন্ধকার করে আবার শুয়ে পড়লুম। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই সেই অদ্ভুত ভয়টা যেন বুকের ওপরে এসে চেপে বসতে লাগল। মনে হতে লাগল, কোথায় কী যেন ঘটতে চলেছে- কী একটা নিশ্চয় ঘটবে। আজ হোক কাল হোক- এই গাড়িতে হোক আর পরে হোক। আরো মনে হতে লাগল, এই গাড়িতে এখন আর আমি একা নেই, আমার সঙ্গে আর কেউ অথবা আর কিছু একটা চলেছে। আমার এই বার্থটার নীচেই সে গুঁড়ি মেরে বসে আছে। একবার মাথা নামিয়ে নীচের দিকে তাকালেই আরো দুটো জ্বলজ্বলে চোখ আমি দেখতে পাবো। কিন্তু এইবারে আমি নিজের ওপরে চটে উঠলুম। পাগল হয়ে যাচ্ছি নাকি আমি! কোন কারণ নেই- কোন অর্থ নেই, তবু পৃথিবীর যত অবাস্তব উদ্ভট কল্পনা আমাকে পেয়ে বসেছে! হালে কতকগুলি বিলিতী ভূতের গল্প পড়েছিলুম, হয়তো তারই প্রতিক্রিয়া এ সব। এই অদ্ভুত অস্বস্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্যে এবার আমি মনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করলুম দস্তুরমতো। প্রাণপণে ভাবতে চেষ্টা করলুম সংখ্যা-তত্ত্বের কতকগুলি জটিল সমস্যা-যা ভেড়া গোনবার চাইতেও কার্যকরী। তারপর প্রায় আরো এক ঘণ্টা পরে- গাড়ি খড়গপুর ছাড়িয়ে গেল, আমার চোখে ঘুম নেমে এল। এটি ছিল মূল গল্প , সম্পূর্ণ গল্পের গন্ধে টিম এই গল্পটিকে এক সত্যি ঘটনার রূপ দেওয়ার চেষ্টাকরেছি , আমাদের চ্যানেলের phone number 9143310770 https://www.facebook.com/615727366118... দুঃস্বপ্ন: সহচরের রহস্য