Скачать с ютуб আল্লাহর কী বিশেষ হিকমা ছিল❓কেন নবী সাঃ সন্তানরা বেঁচে থাকেননি?┇মাওলানা মোমতাজুল ইসলাম┇Momtazul Islam в хорошем качестве

আল্লাহর কী বিশেষ হিকমা ছিল❓কেন নবী সাঃ সন্তানরা বেঁচে থাকেননি?┇মাওলানা মোমতাজুল ইসলাম┇Momtazul Islam

নবিজির (সাঃ) সন্তানরা কেন মৃত্যুবরণ করলেন? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ছয়জন সন্তান ছিলেন: ✅ কাসিম ✅ আবদুল্লাহ (তাইয়িব ও তাহির নামে পরিচিত) ✅ ইব্রাহিম ✅ যাইনব ✅ রুকাইয়া ✅ উম্মে কুলসুম ✅ ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) এদের মধ্যে কেবলমাত্র ফাতিমা (রাঃ) নবিজির (সাঃ) ইন্তিকালের ছয় মাস পর পর্যন্ত জীবিত ছিলেন, বাকিরা নবিজির (সাঃ) জীবদ্দশাতেই মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনাকে অনেকেই হৃদয়বিদারক মনে করেন, তবে এর পেছনে ছিল আল্লাহর বিশেষ হিকমত (জ্ঞান ও প্রজ্ঞা)। --- আল্লাহর হিকমত ও রাসুল (সাঃ)-এর ধৈর্য মানুষের জন্য যা ভালো বা খারাপ, তা সবসময় বোঝা সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন— وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ “আর আল্লাহ জানেন, অথচ তোমরা জানো না।” (সুরা আল-বাকারা: ২১৬) এটি বোঝায় যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সন্তানদের মৃত্যুতে আল্লাহর একটি বিশেষ পরিকল্পনা ছিল, যা আমাদের জন্য শিক্ষা ও ধৈর্যের পরীক্ষা। --- রাসুল (সাঃ)-এর সন্তানদের মৃত্যু ও তাঁর ধৈর্য রাসুল (সাঃ)-এর প্রতিটি সন্তান যখন দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন, তখন তিনি কাঁদলেও কখনোই আল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি, বরং তিনি ধৈর্য ধরেছেন। 🔸 হাদিসে এসেছে: "যখন কোনো বান্দার সন্তান মারা যায়, তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেন, ‘তোমরা কি আমার বান্দার সন্তানকে নিয়ে নিয়েছ?’ তারা বলে, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বলেন, ‘তোমরা কি তার হৃদয়ের ফল কেড়ে নিয়েছ?’ তারা বলে, ‘হ্যাঁ।’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা কী বলল?’ ফেরেশতারা বলে, ‘সে তোমার প্রশংসা করল এবং (إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ) পড়ল।’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করো, যার নাম হবে বাইতুল হামদ (প্রশংসার ঘর)।’” (তিরমিজি: ১০২১, সহিহ হাদিস) এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, সন্তান হারানো কঠিন হলেও ধৈর্য ধরলে আল্লাহ জান্নাতে বিশেষ পুরস্কার দেন। --- নবিজির (সাঃ) উত্তরাধিকার শুধুমাত্র নবুওয়াত, পার্থিব রাজত্ব নয় অনেক ইতিহাসবিদ বলেন, যদি নবিজির (সাঃ) পুত্ররা বেঁচে থাকতেন, তবে কিছু লোক হয়তো মনে করত নবুওয়াত বংশগতভাবে চলবে। কিন্তু ইসলাম নবুওয়াতকে বংশীয় নয়, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত বিষয় বলে ঘোষণা করেছে। আল্লাহ বলেন— مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَآ أَحَدٍۢ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَٰكِن رَّسُولَ ٱللَّهِ وَخَاتَمَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ "মুহাম্মাদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কারও পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসুল এবং নবীদের শেষ নবী।" (সুরা আহযাব: ৪০) এ থেকে বোঝা যায়, নবিজির (সাঃ) ছেলে থাকলে কিছু লোক ভুলভাবে নবুওয়াতকে বংশগত মনে করতে পারত, যা ইসলাম পরিস্কারভাবে বাতিল করেছে। --- নবিজির (সাঃ) জীবনে কঠিন পরীক্ষা এবং তাঁর উম্মতের জন্য শিক্ষা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর জীবনে অনেক কঠিন পরীক্ষা ছিল, যার মধ্যে সন্তান হারানো অন্যতম। এটি উম্মতের জন্য শিক্ষা যে, কেউ যদি সন্তান হারান, তবে ধৈর্য ধরতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে। 🔸 রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: "আল্লাহ যাকে কল্যাণ চান, তাকে কষ্ট দেন।" (বুখারি: ৫৬৪৫) অর্থাৎ, রাসুল (সাঃ)-এর সন্তানদের মৃত্যু ছিল উম্মতের জন্য ধৈর্যের পরীক্ষা ও শিক্ষা। --- উপসংহার ✅ নবিজির (সাঃ) সন্তানদের মৃত্যুতে আল্লাহর বিশেষ হিকমত ছিল। ✅ আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেন এবং উত্তম পুরস্কার দেন। ✅ নবুওয়াত বংশগত নয়, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত বিষয়। ✅ নবিজির (সাঃ) জীবন থেকে শিক্ষা হলো— কোনো কষ্টের সময় ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসা রাখা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রাসুল (সাঃ)-এর শিক্ষা অনুসরণ করার তাওফিক দিন। আমিন। --- আপনারা সবাই দয়া করে P.A SOLUA ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন! এখানে আপনি ইসলামিক ভিডিওসহ নানা শিক্ষণীয় বিষয় পাবেন, যা আপনার জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতাকে সমৃদ্ধ করবে। নতুন ভিডিওর নোটিফিকেশন পেতে বেল আইকনটি প্রেস করতে ভুলবেন না।