У нас вы можете посмотреть бесплатно মঙ্গলকাব্যের অমঙ্গল থেকে বাঁচতে কিং টেকনিক, সারাজীবন মনে রাখার ১০০০% গ্যারান্টি | BCS BANGLA PREP. или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
#bcs #eduking #banglaliterature শ্ন: মঙ্গলকাব্যের নামকরণ সম্পর্কে লিখুন। উত্তর: মঙ্গলবাক্য কেন মঙ্গলকাব্য নামে অভিহিত হত এ নিয়ে নানা মত বর্তমান। এ সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য মতগুলো হচ্ছেÑ ১. যে গান মঙ্গলসুরে গাওয়া হয় কিংবা যে গান যাত্রা বা মেলায় গাওয়া হয়, তাই মঙ্গলকাব্য। ২. যে কাব্য পাঠ করলে ও শ্রবণ করলে, এমনকি গৃহে রাখলেও গৃহস্থের সব অকল্যাণ দূর হয় এবং মঙ্গল হয়, তাই মঙ্গলকাব্য। ৩. যে গান এক মঙ্গলবারে শুরু করে আরেক মঙ্গলবার পর্যন্ত গাওয়া হয়, তাই মঙ্গলকাব্য। ৪. যে কাব্যে দেবতার ‘বিষয়’ অর্থাৎ মাহাত্ম্যকথা বর্ণিত হয়েছে, তাই মঙ্গলকাব্য। প্রশ্ন: একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যে কয়টি অংশ থাকে? উত্তর: একটি সার্থক মঙ্গলকাব্যের মোট ৫টি খ- থাকে। এই ৫টি খ-ের বর্ণনা নিচে দেয়া হলো। ১. বন্দনা-অর্থ প্রশংসা। এতে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর দেবদেবী ও পীর-পয়গম্বরের বন্দনা করা হয়। দ্বিতীয় অংশ-‘আত্মপরিচয়’। প্রায় সব কবিই দেবতার স্বপ্নাদেশে কাব্যরচনা করার কথা ও নিজের পরিচয় তুলে ধরেছে। তৃতীয় অংশ-‘ দেবখ-’। এই অংশে কাব্য-কথাকে পৌরাণিক দেবদেবীর রূপাধারে অলৌকিকত্ব প্রদান ও আভিজাত্য দেবার চেষ্টা করা হয়। চতুর্থ অংশ-‘নরখ-’ বা মূল কাহিনী বর্ণনা। এতে দেবতার পূজা প্রচারের জন্য কোনো কোনো দেবতা ও স্বর্গবাসীর শাপগ্রস্থ হয়ে নরলোকে জন্মগ্রহণের বর্ণনা আছে। তাছাড়া রয়েছে নায়ক নায়িকার প্রথাগত রূপ-বর্ণনা, কুলকামিনীর পতিনিন্দা, রন্ধন-বিবরণ, নায়িকাকে বারমাসের সুখদুঃখের কথা ‘বারমাস্যা’, বিপন্ন নায়কের বর্ণানুক্রমে চৌত্রিশ অক্ষরে দেবতার স্তুব ‘চৌতিশা’ ইত্যাদি। পঞ্চম অংশ-‘শ্রুতিফল’। প্রশ্ন: মঙ্গলকাব্যের রচনাকাল লিখুন। উত্তর: মধ্যযুগের সবচেয়ে সমৃদ্ধ কাব্য ধারা হলো মনসা মঙ্গলকাব্য। গবেষকদের মতে, এই ধারার সূচনা হয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে এবং তা অব্যাহত থাকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত অর্থাৎ পঞ্চদশ শতাব্দী হতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সুদীর্ঘ চারশ বছর ধরে এটি রচিত হয়। মনসা মঙ্গলকাব্য প্রশ্ন: মনসা মঙ্গলকাব্যের পরিচয় প্রদান করুন। উত্তর: দেবী মনসাকে নিয়ে মধ্যযুগে এক শ্রেণীর র্ধমভিত্তিক কাব্য রচিত হয় যা বাংলা সাহিত্যে মনসা মঙ্গলকাব্য হিসেবে পরিচিত। সাপের দেবী মনসার স্তব, স্তুতি, কাহিনী ইত্যাদি নিয়ে রচিত কাব্য ‘মনসা মঙ্গল’। একে ‘পদ্মপুরাণ’ নামেও অভিহিত করা হয়। বাংলার প্রাকৃত জীবন এর লৌকিক জীবনাচার থেকে উদ্ভব হয়েছে মনসা মঙ্গলের। চাঁদ সওদাগরের প্রথম দিকে মনসা বিরূপতা, পরে মনসা দেবীর অলৌকিক শক্তির প্রভাব স্বীকার করে তাঁর বশ্যতা স্বীকার করাই মনসা মঙ্গলকাব্যের প্রধান আখ্যান। এই কাহিনী চৈতন্যপূর্ব যুগ হতে নদনদী পরিবেষ্টিত গ্রাম বাংলার সর্প ভয়ে ভীত সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। মনসা মঙ্গল মূলত পাঁচালী পালা। প্রশ্ন: মনসা মঙ্গলকাব্যের ৫ জন কবির নাম লিখুন। উত্তর: মনসা মঙ্গলকাব্যের ৫ জন উল্লেখযোগ্য কবি হলেন- ১. কানা হরিদত্ত, ২. বিজয়গুপ্ত, ৩. নারায়ন দত্ত, ৪. বিপ্রদাস পিপিলাই, ৫. কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ। প্রশ্ন: মনসা মঙ্গলকাব্যের আদি কবি কে? উল্টর: মনসা মঙ্গলকাব্যের আদি কবি হলেন কানা হরিদত্ত। তার রচিত কাব্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মূলত তাঁর পরিচয় পাওয়া গিয়েছে বিজয় গুপ্তের কাব্যে। বিজয়গুপ্ত তাঁর সম্পর্কে বলেছেন- “মুর্খে রচিল গীত না জানে বৃত্তান্ত। প্রথমে রচিল গীত কানা হরিদত্ত॥” প্রশ্ন: মনসা মঙ্গলকাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে? তাঁর পরিচয় দিন। উত্তর: মনসা মঙ্গলকাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি হলেন বিজয় গুপ্ত। তাঁর লেখা মনসা মঙ্গলা কাব্য সবচেয়ে সমৃদ্ধ যে কারণে তিনি শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি তার মনসা মঙ্গলকাব্যের নামকরণ করেন ‘পদ্মপুরাণ’। দেবী মনসার জন্ম হয়েছিল পদ্ম পাতার উপরে- যে কারণে এর নাম হয়েছে পদ্ম পুরাণ। প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে সবচেয়ে প্রতিবাদী চরিত্র কে? তাকে কেন সবচেয়ে প্রতিবাদী চরিত্র বলা হয়েছে? উত্তর: বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে সবচেয়ে প্রতিবাদী চরিত্র হলেন চাঁদ সওদাগর। তাকে প্রতিবাদী চরিত্র বলা হয় কারণ- ১. মনসা দেবী তার ছয় সন্তানকে তাঁর সাপ দিয়ে মেরে ফেললেও তার প্রতি প্রার্থনা না করে প্রার্থনা করতেন মহাজ্ঞানী শিবের। শিবের ছিলেন তিনি ভক্ত। ২. চাঁদ সওদাগর বাণিজ্যে গিয়ে বিপুল মুনাফা করে ফেরার সময় মনসা দেবীর কথা না শুনলে দেবী তার নৌকা ঝড়ে ডুবিয়ে তার সব লাভের মালামাল পানিতে ডুবিয়ে দেবার পাশাপাশি তাকে ডুবিয়ে মারতে চাইলেও তার প্রতি বশ্যতা স্বীকার করেনি এবং নদীতে মনসাদেবীর প্রাণ রক্ষাকারী কাঠখ- না আঁকড়ে ধরে সে নদীতে ভেসে ভেসে অনেক কষ্টে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। প্রশ্ন: মনসা মঙ্গলকাব্যের প্রধান ৫টি চরিত্রের নাম লিখুন। উত্তর: ১. দেবী মনসা: সাপের দেবী। তিন স্বর্গে বসবাস করেন। ২. চাঁদ সওদাগর: চাম্পাই নগরের বণিক এবং বীরপুরুষ মহাজ্ঞানী শিবের ভক্ত। ৩. সনকা: চাঁদ সওদাগরের স্ত্রী এবং মনসা দেবীর একজন ভক্ত ও পুজারী। ৪. লখিন্দর: চাঁদ সওদাগর ও সনকার সপ্তম সন্তান। ৫. বেহুলা: উজানী নগরের সুন্দরী এই নারীর সাথে লখিন্দরের বিয়ে হয়। ৬. নেতাই ধোপানী: স্বর্গীয় দেবীর ধোপানী।