У нас вы можете посмотреть бесплатно নওগাঁর জগদ্দল মহাবিহার: এক হারিয়ে যাওয়া জ্ঞানের নগরী | নওগাঁ | ধামইরহাট | জগদল ইউনিয়ন। или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
শত শত বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল এক বিশাল ইতিহাস। সময়ের ধুলোয় ঢাকা পড়েছিল এক প্রাচীন বিদ্যাপীঠ। এটি কোনো রাজপ্রাসাদ নয়, কোনো মন্দির নয়; এটি ছিল এককালে এই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র— নওগাঁর জগদ্দল মহাবিহার। প্রতিষ্ঠা ও স্থাপত্যশৈলী আনুমানিক ১১শ থেকে ১২শ শতকে পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা রামপাল এই মহাবিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন। রামপাল চেয়েছিলেন এই অঞ্চলকে জ্ঞান ও সংস্কৃতির এক অবিসংবাদিত কেন্দ্রে পরিণত করতে। তাঁর সেই স্বপ্নই রূপ নিয়েছিল জগদ্দল বিহারে। এর নির্মাণশৈলী ছিল তৎকালীন অন্যান্য পাল বিহারের মতোই। এর চারপাশ ছিল ১০৮টি কক্ষ দিয়ে ঘেরা। ধারণা করা হয়, এই কক্ষগুলো শিক্ষার্থীদের বাসস্থান, ধ্যানকক্ষ এবং শিক্ষকের জন্য ব্যবহৃত হতো। বিহারের ঠিক কেন্দ্রে ছিল একটি বিশাল ক্রুশাকার মন্দির। স্থাপত্যবিদরা মনে করেন, এই ধরনের নকশা বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মের প্রতীকী উপস্থাপনা। বিহারের দেয়ালগুলো ছিল নানা ধরনের পোড়ামাটির ফলক এবং পাথরের মূর্তিতে অলঙ্কৃত। এগুলোর মধ্যে বুদ্ধের জীবনের নানা ঘটনা, বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতীক এবং প্রাণীর চিত্র দেখা যায়, যা তৎকালীন শিল্পকলার এক দারুণ উদাহরণ। জ্ঞান সাধনার কেন্দ্র জগদ্দল বিহার শুধু একটি ধর্মীয় স্থান ছিল না, এটি ছিল একটি প্রখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে বৌদ্ধ ধর্মীয় দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা, সাহিত্য, গণিত, এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হতো। এখানে হাজার হাজার প্রাচীন পুঁথি ও গ্রন্থ ছিল, যা ছিল জ্ঞানপিপাসুদের জন্য এক বিশাল সম্পদ। তিব্বতীয় ঐতিহ্যে জগদ্দল বিহারের খ্যাতি আজও বিদ্যমান। তিব্বতের ইতিহাস থেকে জানা যায়, জগদ্দল বিহারের পণ্ডিতেরা তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে বিশাল ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের মধ্যে দানশীল শ্রী জ্ঞান অন্যতম, যিনি বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মের একজন অগ্রণী পণ্ডিত ছিলেন। এই বিহার থেকে তিনি যে জ্ঞান লাভ করেছিলেন, তা তিব্বতের মাটিতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এটি প্রমাণ করে, এই বিহারের প্রভাব শুধু এই উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ধ্বংস এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার নেপথ্য কণ্ঠ: জ্ঞান ও প্রজ্ঞার এই আলো দীর্ঘকাল জ্বলতে পারেনি। ১৩শ শতকে তুর্কি আক্রমণের ফলে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। একসময়ের জমজমাট শিক্ষাকেন্দ্রটি পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। ধীরে ধীরে এটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় এবং স্থানীয়ভাবে এটি "জগদল জমিদার বাড়ি" নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৩০-এর দশকে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের সময় এই স্থানটি প্রথমবার নজরে আসে। কিন্তু ব্যাপক খননকাজ শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। সেই খননকার্যেই মাটির নিচ থেকে একটি সম্পূর্ণ বিহারের কাঠামো উন্মোচিত হয়। খননে পাওয়া যায় পোড়ামাটির ফলক, ব্রোঞ্জের তৈরি বুদ্ধমূর্তি এবং প্রাচীন মুদ্রা। এই আবিষ্কারগুলো প্রমাণ করে, এটি ছিল একসময়কার এক সমৃদ্ধ জনপদ। আজও এই ধ্বংসাবশেষগুলো আমাদের গৌরবময় অতীতের সাক্ষ্য বহন করে। প্রতিটি ইটের টুকরা, প্রতিটি পাথরের খণ্ড যেন আমাদের এক হারানো দিনের গল্প শোনায়। এটি আমাদের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা একসময় এই অঞ্চলের জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল। জগদ্দল বিহারের ধ্বংসাবশেষ শুধু কিছু প্রাচীন ইটের স্তূপ নয়; এটি আমাদের ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, একসময় এই ভূখণ্ড ছিল জ্ঞান ও প্রজ্ঞার এক অনন্য কেন্দ্র। এর ইতিহাস আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়, যেন আমরা সেই হারিয়ে যাওয়া গৌরবকে আবারও ফিরিয়ে আনতে পারি। #subscribe #foryou #love #travel #bangladeshtourism #youtubeshorts #dj