У нас вы можете посмотреть бесплатно দুই বিঘা জমি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-JSC Bangla 1st Paper или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
'দুই বিঘা জমি' একটি কাহিনী কবিতা। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'কথা ও কাহিনী' নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। এ কবিতায় শোষক শ্রেণির শোষণ ও গরিবদের দুর্দশা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। রবি ঠাকুর এখানে দেখাতে চেয়েছেন দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচারের এক করুণ চিত্র। এখানে জমিদার বাবুর চরিত্রের মধ্য দিয়ে নিষ্ঠুরতা, পাশবিকতা ও মানবতাবোধহীনতার পরিচয় পাই। আর উপেন হল নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত ও দুর্ভাগ্যের শিকার নিরীহ এক মানবের প্রতিনিধি। যে মানুষগুলো সম্পদলোলুপতার শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। তবু এর কোন প্রতিবাদ করে না, বরং হাসি মুখে সব সয়ে যায়। উপেন নামের এক প্রান্তিক কৃষক। উপেনের যে জমিজমা ছিল তার মধ্যে দুই বিঘা জমি ছাড়া সবই ঋণের দায়ে তাকে হারাতে হয়েছে। এখন সম্বল শুধু ভিটেমাটির দুই বিঘা জমি। কিন্তু উপেনের কপাল খারাপ। তার এলাকার জমিদার বাবুর ভূমির অন্ত নাই। তথাপি বাবুর নজর পড়েছে উপেনের দুই বিঘা জমির উপর। বাবু উপেনের জমি কিনতে চান। শুনে উপেন বলে, রাজা এই দেশের মালিক আপনি, জায়গার অভাব নেই। কিন্তু আমার এই জায়গাটি ছাড়া মরার মতো ঠাঁই নেই। উপেন দুই হাত জোড় করে বাবুর কাছে সাত পুরুষের ভিটেটা কেড়ে না নেওয়ার অনুরোধ করে। এতে বাবু রেগে চোখ গরম করে চুপ করে থাকেন। নাছোড়বান্দা বাবু দেড় মাস পরেই মিথ্যে ঋণের দায়ে উপেনের প্রতি ডিক্রি জারি করল। উপেন নিজের ভিটে ছেড়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। এভাবে ১৫/১৬ বছর কেটে যায়। অনেক তীর্থস্থান, শহর, গ্রাম সে বিচরণ করে, তবুও উপেন তার সেই দুই বিঘা জমির কথা ভুলতে পারে না। তাই মাতৃভূমির টানে উপেন একদিন ফিরে আসে নিজ গ্রামে। অনেক পথ পেরিয়ে নিজ বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়। সে দেখে বাড়িতে আগের কোন চিহ্ন নেই। উপেনের মন বিষণ্ন হয়ে পড়ে। আজ তার বসতভিটা নিজ ঐতিহ্য ভুলে বিলাস বেশ ধারণ করেছে। নিজের বাড়িতে এসে উপেন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। তার চোখ ভরে জল আসে। অবশেষে তার ছেলেবেলার সেই আমগাছটির দিকে চোখ পড়ে উপেনের। স্মৃতিময় আমগাছটি দেখে তার মনের ব্যথা দূর হয়ে যায়। আমগাছটির নিচে বসে সে ভাবতে থাকে ছেলেবেলার কথাগুলো। তখনি হঠাত্ তার কোলের কাছে দুটি আম ঝরে পড়ে। ক্ষুধার্ত উপেন ভাবে আমগাছটি তাকে চিনতে পেরে দুটি আম উপহার দিয়েছে। কিন্তু আম দুটি হাতে নিতেই বাগানের মালি যমদূতের মতো লাঠি হাতে এসে উপেনের উপর গালি বর্ষণ করে। উপনের ঘাড় ধরে রাজার কাছে নিয়ে যায়। বাবু তখন মাছ ধরছিলেন। মালির কাছে সব শুনে বাবু রেগে উপেনকে বকা দেন, মারতে চান। উপেন কাতর হূদয়ে বাবুর কাছে আম দুটো ভিক্ষা চায়। কিন্তু বাবু উপেনকে সাধুবেশী চোর বলে উল্লেখ করেন। এতে উপেন হতভম্ব হয়ে যায়। যে জমিদার বাবু জোচ্চুরি করে উপেনের সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছে সেই বাবু আজ নিজেকে সাধু বানিয়ে উপেনকে চোর আখ্যা দিল। চোর উপাধি শুনে উপেনের চোখ দিয়ে ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা ও পরিহাসের কথা মনে পড়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে। এই কবিতার মাধ্যমে কবি দেখাতে চেয়েছেন সমাজে এক শ্রেণির লুটেরা বিত্তবান প্রবল প্রতাপ নিয়ে বাস করে। তারা সাধারণ মানুষের সম্পদ লুট করে সম্পদশালী হয়। তারা অর্থ, শক্তি ও দাপটের জোরে অন্যায়কে ন্যায় ও ন্যায়কে অন্যায় বলে প্রতিষ্ঠা করে। তাছাড়া সম্পদের মালিকরা আরো সম্পদ আহরণের জন্য কীভাবে লালায়িত হয় সেই বিষয়টিও এখানে উঠে এসেছে। Lecturer: Omar Faruq BSS & MSS in Political Science University of Dhaka Cell: 01921-122611 Founder: অনুশীলন প্রাইভেট কেয়ার শনির আখড়া, কদমতলী, দনিয়া, ঢাকা-১২৩৬ Our facebook page: / onushilonbd Our facebook group: www.facebook.com/groups/onushilon313 Watch our youtube channel: / omarfaruq313