У нас вы можете посмотреть бесплатно গল্পের ৩য় অংশ || আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে ইসহাক,ঘন কালো কেশে মুখ ডুবিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল..... или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
গল্পের ৩য় অংশ || আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে ইসহাক,ঘন কালো কেশে মুখ ডুবিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল..... বাড়ি জুরে চাপা উত্তেজনা, চিন্তায় এবার বুঝি মাথা ফাটবে আরহার,তিনঘন্টা হলো এনার কোন খোঁজ নেই। ইসহাককে ফোন করা হয়েছে, রাস্তায় আছে,অফিস থেকে বাড়ি ফিরছে। বাহিরে গাড়ির আওয়াজ, ইসহাক ফিরেছে, ভয়ে জড়সড় আরহা। ঠকঠক কাঁপছে। ইসহাকের ক্ষিপ্ত পায়ের শব্দে রূহ কাঁপতে শুরু করেছে। ইসহাককের রক্তিম মুখ বাজখাঁই আওয়াজ, ' এখানে তোমাকে কেন রাখা হয়েছে? কেন টাকা দেওয়া হয়,এনার দেখাশোনা করার জন্য, নিজের কাজ রেখে কোথায় ছিলে। ইউ আর ফাইয়ার্ড,আউট!' শিলা কেঁদে উঠল, ইসহাকের পায়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল, ' স্যার ক্ষমা করে দিন,আমার কোন দোষ নেই। ওয়াশরুমে ছিলাম, বেরিয়ে দেখি মেডাম ঘরে নাই, স্যার, স্যার একটা শেষ সুযোগ দিন। এই চাকরি গেলে আমার সংসার পথে নামবে। স্যার...' ইসহাককের কপালের রগ ফুলছে, রাগে ধপধপ করছে মাথা, তড়াক করে ঝারি মেরে পা ছাড়িয়ে নিলো। ক্ষিপ্ত কন্ঠে বলে, ' ভুল করার আগে ভাবা উচিত ছিল, নাও আউট!' শিলা জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে গেল, ছোট ছোট পা ফেলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেল। আরহা বিহ্বল, হতভম্ব, এই কোন ইসহাককে দেখছে সে। নির্দয়, হৃদয়হীন, অকরূণ,এই ইসহাককের সাথে পুরোপুরি অপরিচীত আরহা। মেয়েটা না হয় সামান্য ভুল করেছে তাই বলে এভাবে অপমান করে তাড়াবে,একটা সুযোগ পর্যন্ত দিবে না! আরহা ইসহাককে দিক এগিয়ে এলো,অভয় কন্ঠে বলল, ' এখানে শিলার কোন দোষ দেখছি না,আপনি একবার উনার কথা শুনে নিন,কি বলতে চাইছে অন্তত একবার.. ইসহাক রাগী কন্ঠে গর্জিয়ে উঠল, ' কারো কোন কথা শুনতে চাইছিনা! ভুলটা আমার আমি আপনার কথায় এনাকে আউট হাউজ থেকে বাড়ি এনেছি। যেই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তা আগবাড়িয়ে নেওয়ার প্রয়োজন কি?' এমনিতে অনুতাপের গ্লানিতে বুক পুড়ছে। তার উপর ইসহাকের শক্ত কথায় প্রচণ্ড আহত হলো আরহা! জলে চোখ চিকচিক করে উঠল, গাল বেয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। নিশব্দে কাঁদছে,টু শব্দ পর্যন্ত করল না আর। ইসহাক আরহার মুখপানে ফিরে তাকাল না, বেরিয়ে গেল বাহিরে,চারিদিক লোকজন ছড়িয়ে দিয়েছে । আশেপাশে সব জায়গায় খোঁজ চলছে, রাগে চিন্তায় ইসহাককের পাগল প্রায় অবস্থা, অপরিচীত শহর। এই শহর খুব একটা চেনাজানা না আরহার,তার সাধ্যি অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে খুঁজছে। বাগান আউট হাউজ সব তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে,কোথাও নেই এনা। বাড়ির পেছন বাগানটা নিরিবিলি,লোকজন খুব একটা আসা হয়না এদিকে। বিভ্রাট মস্তিষ্ক, ক্লান্ত শরীরে ধপ করে বসে পড়ল, শরীর চলছেনা আর। বিষন্নতা ঘিরে ধরেছে চারিপাশ,চোখমুখ জ্বলছে খুব। মুখে ওড়না পেঁচিয়ে হু হু করে কেঁদে উঠল। গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে টপটপ,কি করবে সে! কোথায় খুঁজবে এনাকে! মোবাইল হাতে নিয়ে বসে রইল, ভাবিমাকে একবার ফোন করবে কি? ফোন করে কি বলবে? এনার দায়িত্ব নিয়ে দেখে রাখতে পারলনা,হারিয়ে গেছে এনা,ভিতরের অনুতাপ অনুসূচনা খাবলে খাচ্ছে। দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে থম মেরে বসে রইল, ক্লান্ত মস্তিষ্কে কোন উপায় খেলছে না আর। চিন্তাশক্তি সব জেনো শূণ্যতে নেমে এসেছে,আচমকা কানে ফিসফিস আওয়াজ এলো, 'ভাবী',আরহা ছিটকে উঠল। এনার আওয়াজ না? মাথা ঝাড়া দিয়ে আশেপাশে খুঁজতে শুরু করল, কোথাও নেই। আরহার অশ্রুস্নাত আঁখিতে বিভ্রান্তির ছাপ। এইমাত্র- ই তো এনা ভাবি বলে ডাকল। সে স্পষ্ট শুনল,হ্ঠাৎ কোথায় গেল মেয়েটা? তবে কি তার ভ্রম ছিল,চিন্তিত মুখ, বিহ্বল আরহা, কিছুক্ষণ থম মেরে রইল। মৃদু মৃদু বাতাসে আবারো মিষ্টি স্বরে ভেসে এলো 'ভাবি', এবার ভুল হলো না। কান উঁচু করে রেখেছিল,আওয়াজের দিক খুঁজতে বেগ পেতে হলো না তাকে। তড়াক উঠে দাঁড়াল,ঘাড় উঁচিয়ে উপরের দিক তাকাল। সূর্যের তেজস্বী আলো মুখে তেড়চা ভাবে পড়ছে চোখজোড়া আপনা আপনি বুজে আসছে। রেলিং ডিঙ্গে ছাদের উপর পা ঝুলিয়ে বসে আছে এনা,হাতে টকটকে শিমুল ফুলের ডাল। খিল খিল করে হাসছে,যেন আরহাকে চমকে দিয়ে বেশ আনন্দ পেয়েছে সে! এনাকে সুস্থ দেখে চোখ বুজে স্বস্তি নিশ্বাস ফেলল আরহা, মনে মনে আল্লাহ্ কে হাজার শুকরিয়া জানাল। গাল বেয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল, সরু হাসির ঝলক ফুটে উঠল ঠোঁটে। হঠাৎ এনার অবস্থান দেখে আরহা ঘাবড়ে উঠল, রেলিং এর বাহিরে চিকণ সরু জায়গায় বসে আছে এনা। একটু উনিশ বিশ হলে যেই কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বুক কাঁপছে আরহার, চোখ মুছে তড়বড় করে বলল,