কাজিনের পিচ্চি বান্ধুবী যখন বউ♥️ (৩য় অংশ) কি হয়েছিল রায়ার! রাফি কি তাকের নিজের মতো পাবে... скачать в хорошем качестве

কাজিনের পিচ্চি বান্ধুবী যখন বউ♥️ (৩য় অংশ) কি হয়েছিল রায়ার! রাফি কি তাকের নিজের মতো পাবে...

কাজিনের পিচ্চি বান্ধুবী যখন বউ♥️ (৩য় অংশ) কি হয়েছিল রায়ার! রাফি কি তাকের নিজের মতো পাবে... কাজিনের পিচ্চি বান্ধুবী যখন বউ♥️ _রুডি আসবো? রুদ্র এতক্ষন ধরে ইশার জন্যই অপেক্ষা করছিলো,ইশা কাজটা করতে পারবে কি না এই নিয়ে টেনশনে ছিলো খুব। ইশার ডাক শুনে রুদ্রের হুশ আসে। _হ্যা আয় ইশা। ইশা ডুকার সাথে সাথেই রুদ্র বলে, করতে পেরেছিস কাজটা? _ইশা হেসে জবাব দেয় অল ডান! ইশার কথায় রুদ্র সস্তি পায়, এতক্ষন ধরে সে হাসফাস করছিলো, মোবাইল টা বিছানা থেকে নিয়ে পকেটে ডুকাতে ডুকাতে বলে, বাকিরা কোথায়? বাইরে কেউ আছে? _ না সবাই যে যার রুমে। রাস্তা একেবারে ক্লিয়ার। কিন্তু রুডি তোর প্লান কি? উল্টা পাল্টা কিছু করবি না তো আবার? _রুদ্র ভ্রু কুচকে তাকায় ইশার দিকে, _ ইশা আমতা আমতা করে বলে না মানে ভাই, ছোট মানুষ ও কি আর বুঝে বল, ধমকা-ধমকি করিস না ভালোভাবে কথা বলিস। গায়ে হাত তুলবিনা বলে দিলাম, ও এমনিতেই একটু ত্যাড়া ত্যাড়া কথা বলে,তুই মেজাজ ঠান্ডা রাখবি। _রুদ্র ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হাসি টেনে বলে হুম বোঝে না কিছু এই জন্যই এই বয়সে জামাইকে পেটানোর আর জামাইর গুষ্ঠিকে জেলে পাঠানোর কথা বলে, তুই যা এখন তোর কাজ শেষ। _ধূর ওটা তো গেইম ছিলো,আমরা মজা করছিলাম।আর যাবো মানে আমি তো আজ তোর সাথে থাকবো, _ আমার কাজ শেষ হলে তোকে বলবো তুই এখন যা, এখানে থাক না হয় আয়ুষ এর কাছে যা। বলে রুদ্র বেরিয়ে যায়। রায়া শুয়েছিলো কিন্তু তার চোখে ঘুমের ছিটেফোটা ও নেই, আজ ইশা আপুর স্টরি শুনবে বলে বসে সে। ইশা আপু আসছেন না দেখে ফোনে ম্যাচিং দা ডিফারেন্সেস খেলছিলো। এমন সময় দরজার নব ঘুরানোর আওয়াজে রায়া পিছন ফিরে তাকায়, সে ভেবেছিল ইশা আপু এসেছে কিন্তু সামনে সেই অসভ্য লোকটাকে দেখে সে হতবাক হয়ে যায়। তার মাথার যেন আকাশ ভেংগে পড়েছে এমন অবস্তা। চোখ ২টা বড় বড় করে তাকিয়ে আছে, পর মূহুর্তে রায়াকে অবাকের চরম সীমানায় পৌছে দিয়ে রুদ্র দরজাটা লক করে দেয়। রায়া এবার উঠে দাঁড়ায়, রুদ্র এগিয়ে আসে, রায়া হকচকিয়ে বলে আপনি আপনি এখানে কেনো, দরজা লাগিয়েছেন কেনো, রুদ্র কোন জবাব না দিয়ে এগিয়ে যায় রায়ার কাছে, খুবই শান্ত গলায় রুদ্র বললো রিলেক্স, আই ওয়ান্ট টু টক টু ইউ এবাউট সামথিং। বসো এখানে! রায়াকে বিছানায় বসতে বলে রুদ্র। রুদ্র যত শান্ত ভাবে কথাটা বললো কিন্তু রায়া ততটুক শান্ত হতে পারলো না, একটা বদ্ধ ঘড়ে দরজা লাগিয়ে একটা ছেলের সাথে যদি কেউ তাকে দেখে সবাই তার উপর প্রশ্ন তুলবে। ইশা আপু যেকোন  মূহুর্তে চলে আসবে রায়ার মাথা কাজ করছেনা আতঙ্কে। সে উত্তেজিত হয়ে বলে ওঠে, _ আমার কোন কথা নেই আপনার সাথে, আপনি এখান থেকে যান প্লিজ,কেউ চলে আসবে। _ রুদ্র বিরক্ত হয়ে বলে তো কেউ আসলে কি, _ আপনার কাছে কিছু না হলেও আমার কাছে অনেক কিছু, আপনি প্লিজ যান এখান থেকে নাহলে, _নাহলে কি? রায়ার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে রুদ্র। _আপি রামিশা আপু কে ডাকবো। _ ডাকো। রুদ্রের এরকম হেয়ালি করে বলা  কথা বার্তায়  রায়ার ভয় হচ্ছে। _রায়ার ভাবনার মাঝে আবার রুদ্র ঝাঝালো গলায় বলে কি হলো ডাকো। কথাটা বলে রায়ার দিকে এগোতে নিলেই রায়া নড়ে চড়ে ওঠে রায়া কোন জবাব না দিয়ে সাইড দিয়ে চলে যেতে নিলে, রুদ্র তার পুরুষালী শক্ত হাত দ্বারা  রায়ার বাহু চেপে ধরে, রায়া তৎক্ষণাৎ রুদ্রকে ধাক্কা মেরে ছাড়িয়ে নেয় নিজেকে, _রুদ্রের রাগ উঠে তবুও সে নিজেকে শান্ত রেখে বলে, দেখো আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে, কথাগুলো শুনো এখানে বসো। রুদ্রের কথায় রায়ার মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখা গেল না, সে আবার রুদ্রকে সাইড কাটিয়ে চলে যেতে নেয়,