У нас вы можете посмотреть бесплатно বিহারের নির্বাচন বাংলাতে কতটা প্রভাব ফেলবে? এখানেও কি সুনামি আসতে চলেছে? или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
বিহারের নির্বাচনের আগেই বলে রাখি যাঁরা ঐ কন্সপিরেসি থিওরি ভাসানোর চেষ্টা করছেন, ফলাফলের সাধারণ গণিত না জেনেই জোটের ভোট কে আলাদা করে দেখিয়ে কেন ২১% এর কম ভোট পেয়ে বিজেপি ৯০ টা আসন পেল? কেন ২২% ভোট পাবার পরেও তেজস্বী ২৫ টা আসন পেলোর মত বোকা বোকা প্রশ্ন করছেন, যাঁরা মনে করেন এস আই আর করেই হারানো হলো, যাঁরা মনে করেন ইলেকশন কমিশনের জন্যই হেরে গেল মহাগটবন্ধন, যাঁরা মনে করেন মোট ভটারের চেয়েও বেশি ভট পড়েছে, তাঁদের বলবো আপনাদের এই সব প্রশ্ন সে যতই বোকা বোকা হোক না কেন, তার উত্তর নিয়ে একটা এপিসোড করবো, আপাতত একটু আলাদা আলোচনা, যে আলোচনার ভিত্তি হল সেই কারণগুলো যা এন ডি এ কে এগিয়ে দিল, তাদের ভোট বাক্সে সুনামি আনলো, সেই কারণগুলো যার ফলেই একটা সরকার ১৫ বছরের অ্যান্টি ইনকমব্যান্সি কে প্রো ইনকমব্যান্সিতে বদলে দিতে পারলো। যে যে কারণে এবারে এন ডিয়ে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল, এবারে সেই কারণ গুলো একে একে বলবো আর সেই কারণগুলোর সঙ্গে বাংলার রাজনীতির মিল নিয়ে কথা বলবো। যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, তা হল, এন ডি এ ভোট ব্যাঙ্কটাই ছিল বিশাল, মানে তূলনামূলকভাবে মহাগটবন্ধনের চেয়ে অনেকটাই বড়। কীভাবে? জুড়তে থাকুন। নিতীশ কুমারের বিরাট মহিলা ভোট। কেবল ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলেই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংরক্ষণ, পুলিশের চাকরিতে সংরক্ষণ, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ, জীবিকা দিদি, মানে সেলফ হেল্প গ্রুপের আওতাতে দু আড়াই কোটি মহিলাকে আনা এবং সেই পুরনো মদ্যপান বন্ধ, সব মিলিয়েই নিতীশ কুমারের মহিলা ভোট, যা অ্যাক্রস দ্য কাস্ট অ্যান্ড ক্রিড। সঙ্গে জুড়ুন নিতীশের সংগে থাকা কুর্মি কৈরি, ওবিসি ভোট কে যা নিতীশের ঝোলা ব্যাগের মত তাঁর সঙ্গেই যাতায়াত করে। নালান্দা নওয়াদা এলাকাতে একসময়ে কমিউনিস্টদের বোলবালা ছিল, জিততেন ভূমিহার নেতা গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী, কিন্তু সেই অঞ্চলের বিরাট কূর্মি কৈরি ভোট নিয়ে নিতীশের উথ্বান হল, সিপিএম ঐ এলাকা থেকে মুছে গেল। সঙ্গে জুড়ুন জিতন রাম মাঞ্ঝি বা উপেন্দ্র কুশওয়াহা দের ইবিসি ভোট, সঙ্গে জুড়ুন পাশওয়ান দের দলিত ভোট, জুড়ুন বিজেপির উচ্চ বর্ণের ভোট, নিতীশের দৌলতে কিছু পশমন্দা মুসলমানদের ভোট, পশমন্দাদের একতা অংশ ইবিসি তালিকাতে আছেন, জুড়েছেন নিতীশ কুমার, জুড়ুন জঙ্গল রাজের ওয়াপসি, ফিরে আসার ভয়ে বিহারের মধ্যবিত্তদের ভোট, জুড়ুন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে তৈরি লাভার্থীদের ভোট, জুড়ুন মোদি ভক্তকুলের ভোট। হ্যাঁ এগুলো নিয়েই রওনা দিয়েছিল এন ডি এ। গতবার যে সাড়ে পাঁচ শতাংশ ভোট চীরাগ পাশওয়ান কেটেছিল, তার পুরোটাই ফেরত এসেছে। মানে নিতীশ মোদীর এন ডি এ দৌড় শুরুই করেছে এক বড় ভোট ব্যাঙ্ক দিয়ে, যা মুসলমান যাদব দের ২০% মাই ভোট ব্যাঙ্কের থেকে বড়, আর তারপর চলতিকা নাম গাড়ি, মঞ্জিলে চলতে গয়ে, কারয়াঁ বনতা গয়া। ১৯৯০ এ লালুর কাম ব্যাক, বিহার নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সি পি আই ২৪টা, সি পি আই এম ৬টা, মার্কসিস্ট কো অর্ডিনেশন কমিটি ২টো এবং সি পি আই এম এল (লিবারেশন), তখন আই পি এফ ৬টা আসন পেয়েছিল। কোনও বিশেষ অঞ্চলে নয়, সারা বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বামপন্থীদের বিধানসভায় শক্তি -ছিল ৩৮। ১৯৯৫ এ আবার লালু জিতেছিল, বিরাটভাবেই, সেবারে সিপি আই ২৬, সিপিএম ৬, লিবারেশন ৬ আর এ কে রায় এর এম সি সি ২, মানে ৪০। মানে ঐ পাঁচবছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বামপন্থীরা থেকেও, আর যাই হোক নির্বাচনী হিসেব নিকেশে এগোতে পারেননি। আসুন এই প্রেক্ষিতে বাংলার অবস্থান টা দেখে নিই। এখানে মানে বাংলাতে প্রায় ৩০% মুসলমান আছে, বিহারে নিতীশের জন্য তবু কিছু মুসলমান ভোট এন ডি এ তে গেছে, বা ধরুন হিন্দি ভাষী আসাউদ্দিন ওয়েইসি সীমাঞ্চলে হিন্দি ভাষী মুসলমানদের ভোট পেয়েছেন, কিন্তু এ রাজ্যে? রক সলিড মুসলমান ভোট দিদিমণির পাশে, ২০২১ এ অমন পীরজাদা আব্বাসকে গলায় জড়িয়েও ফুরফুরা শরিফের লাগোয়া আসনে মহম্মদ সেলিম জিততে পারেন নি, যা প্রমাণ করে, বিজেপির এই আগ্রাসী মুসলমান বিরোধিতার সামনে মুসলমান ভোট ভ্যাঙ্ক এক মনোলিথিক আকার নেয়, যা দিদিমণিকে শুরুতেই ২০/২২% এগিয়ে রাখে। ভাঙড়ের আরেক পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকি এবারে তৃণমূলের সমর্থন পেলে জিতবেন, নাহলে জিততে পারবেন না, বিজেপি জিতবে ফাঁকতালে? সেগুড়ে বালি, টৃণমূলই জিতবে, তাহলে নওসাদ সিদ্দিকি কে তৃণমূলে নেবার দরকার কী? ঐ ১ কি দেড় শতাংশ মুসলমান ভোট, আর কিচ্ছু নয়। মিলিয়ে নেবেন। জুড়ুন দিদিমণির মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক, এবারে তো সেই ব্যাঙ্কে ভোট ঘোষণার পরেও টাকা ঢুকবে, লিখে রাখুন, দিদিমণি খুব ভালো ছাত্রী, শিখে নিয়েছেন কায়দাটা। আর সেই মহিলা ভোট কেবল ঐ লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্যই জুড়বে না, দিদিমণির দলের দিকে তাকান, সেই পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে সাংসদ পর্যন্ত, ক্যাবিনেট পর্যন্ত মহিলাদের পার্টিসিপেশন দেখুন, দলের বিভিন্ন স্তরের কমিটিতে মহিলাদের শেয়ার দেখুন, চমকে যাবেন, ৬০/৬৫% পার্টিসিপেশন, হ্যাঁ মহিলারা এক নতুন ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন, যা দিদিমণির এক বড়সড় ভোট ব্যাঙ্কে হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুড়ুন শহরে বস্তি আর গ্রামবাংলার বিরাট অঞ্চলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে সুযোগ সুবিধে পাওয়া বেনিফিসিয়ারির দলকে, জুড়ুন একটা অংশ আদিবাসী আর দলিতকে, কারণ সেখানেও কিছু ভাগ তৃণমূলের দিকে যাবেই, তা প্রায় সমান সমান। এবং সেই ভোটার যাঁরা লেসার ইভিল মনে করেই বাঁ হাত দিয়ে হলেও মনসার পুজো করেন চাঁদ সওদাগরের মত। তারমানে হল দিদিমণি যেখান থেকে শুরু করছেন তা কিন্তু নিতীশ মোদীর এন ডি এ র মতন অই এক বিরাট বিরাট বেস।