У нас вы можете посмотреть бесплатно মুসলমান মানেই সন্ত্রাসবাদী বা তাদের সমর্থক? или скачать в максимальном доступном качестве, видео которое было загружено на ютуб. Для загрузки выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием видео, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
দিল্লি বিস্ফোরণে এই পর্যন্ত যতজন ধরা পড়েছেন, যাঁদের নাম উঠে এসেছে তাঁরা প্রত্যেকেই মুসলমান আর ছবি দেখে মনে করা যেতেই পারে যে তাঁরা প্রাকটিসিং মুসলমান। পহলগাঁও এ যারা এসেছিল মানুষ খুন করতে তারা প্রত্যেকেই মুসলমান, কলমা পড়িয়ে জানার চেষতা করেছিল কারা হিন্দু কারা মুসলমান, এটা ঘটনা যে সেই মুসলমান উগ্রপন্থীদের হাত থেকে একে ফর্টি সেভেন কেড়ে নিতে গিয়েই একজন মুসলমানকেও গুলি করেছিল সেই উগ্রপন্থীরা। এই প্রত্যেকটা ঘটনা দেশের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের লজ্জিত করে, তাঁরা সম্ভাব্য বিষাক্ত প্রতিক্রীয়া আসার ভয়েই কুঁকড়ে যান, আর অন্যদিকে ঠিক এই ঘটনা ঘটবেই, ঘটানোর জন্য এক কনডিউসিভ এনভায়রনমেন্ট তৈরি করা শয়তানের দল উল্লসিত হন, তোমরা বোমা ফাতাবে, পালিয়ে বেড়াবে, দেশ শুদ্ধু লোক তোমাদের দেশ বিরোধী বলবে, পাকিস্তানের পাঠানো উগ্রপন্থী বলবে, সন্ত্রাসবাদী বলবে এক ঘৃণা ছড়াবে দেশ জুড়ে, যেখানে ঐ শয়তানেরা ফ্রিজে কেবল গোমাংস আছে সেই অভিযোগে জ্যান্ত জ্বালিয়ে মারবে, রাস্তায় ধরে গরু পাচার করছে বলে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারবে। আপনি তাতে সায় দেবেন কারণ এই দাড়ি, আর ফেজ পরা মুসলমানেরা দেশদ্রোহী। এক সরল সমীকরণ। মসজিদের বাইরে আই লাভ ইউ মহম্মদ লিখেছে, কেন লিখেছে? হোক দাঙ্গা, বুলডোজার এসে বেছেবেছে ঐ মুসলমানেদের ঘর ভাঙবে, পুলিশের অব্যর্থ গুলিতে মারা যাবে ১৭ বছরের কিশোর আর তার ভাই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এর খোঁজ করতে বের হবে, খুড়তুতো বোন ডাক্তারি পাস করে ডিটোনেটর ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেবে। আবার বিস্ফোরণ, আবার ঘৃণা আবার ম্রৃত্যু আবার শোক, ক্রোধ, প্রতিশোধ, এই চক্র ঘুরতেই থাকবে। লাদেন নির্দেশ দিয়েই দায় সেরেছেন, মহম্মদ আটা টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে ইতিহাসে, আপনার পাশের বাড়ির ৬ বছরে বাচ্ছা সুহান কে স্কুলে তার বন্ধুরা জিজ্ঞেষ করছে তোর বাবা সন্ত্রাসবাদী? এটা তো ঘটনা যে কোরানে জেহাদ কথাটা আছে, সে কথার অন্ত্ররনিহিত মানে নিজের সঙ্গে লড়াই, নিজের ভেতরের পশু প্রবৃত্তির সঙ্গে লড়াই, কিন্তু হিন্দুরা ছেড়েই দিন, কজন মুসলমান সেই কথা জানেন? ব্যক্তিগতভাবে এই ঘৃণা, এই গণপিটুনি এই নিজের কাছের মানুষের মৃত্যু তাকে এক জেহাদের জন্য উসকানি দেয়, সে জেহাদের চেহারা আমরা তো দেখছি। এরকমই কি ছিল আমাদের দেশ? স্বাধীনতার দিনগুলোতে রক্ত দেন নি মুসলমান মানুষজন? জেলে যান নি? স্বাধীনতা সংগ্রামে নামেন নি, ফাঁসির দড়ি গলায় পরেন নি? ৪৭ এর পরে কিছু বিচ্ছিন্ন দাঙ্গা হয়েছে, দেশ জুড়ে ইসলামিক জেহাদিদের এই তুর্কি নাচন দেখেছিলেন নাকি? আমাদের সামাজিক সম্পর্ক, আমাদের বৈজ্ঞানিক ভাবনা চিন্তার উন্মেষ, আমাদের আবিস্কার, শিল্প, রিসার্চ, উচ্চশিক্ষা, বাণিজ্য ঠিক যখন এক লাফ দিতে যাবে তখন এই আর এস এস মাঠে নেমেছিল, ঐ ৮০র দশক থেকে খেয়াল করে দেখুন এই ঘৃনার চাষবাস, কুসংস্কারের ছড়াছড়ি। ৮০ পর্যন্ত চীন আর আমাদের জিডিপি প্রায় এক, আমাদের থেকে ওদের জনসংখ্যা বেশি। ওরা নামলো শিক্ষানিয়ে, বিজ্ঞান নিয়ে, রিসার্চ নিয়ে, ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মেডিকেল থেকে এগ্রিকালচার, নতুন আবিস্কার আর পুরনো ঐতিহ্য কে মিশিয়ে নতুন দেশ গড়তে। আমাদের দেশে শুরু হল রামমন্দির, এল মন্ডল কমন্ডল এর রাজনীতি। নানান গুজব ছরানো শুরু হল, এবং শেষে বাবরি মসজিদ ভাঙা হল। দেশের ইতিহাস বাবরি মসজিদ ভাঙার আগে আর ভাঙার পরে আলাদা হয়ে গেছে, কেবল ইতিহাস নয়, জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষা সংস্কৃতি সবতাই আলাদা। এবং দেশের ১৪/১৫ কোটি মুসলমানেরা জানতে পারলেন একদিন, কেউ দোষী নয়, কেউ নয়, অতঃপর জানা গেল যে কেউ দোষী নয়। ৩২ জনের একজনও দোষী নয়, এক ঐতিহাসিক মনুমেন্ট ভাঙা হলো, চোখের সামনে, দুনিয়া দেখলো, দেশের মানুষ দেখলেন পড়লেন জানলেন, কারা সেদিন কর সেবার ডাক দিয়েছিল, তা সবার জানা, কারা সেদিন নেতৃত্বে ছিলেন, তাও সবার জানা। সেই নেতাদের চোখের সামনে এক প্রাচীন ঐতিহাসিক মনুমেন্ট ভাঙা হলো, শ্লোগান উঠল, এক ধাক্কা আউর দো, নেতা নেত্রীরা আবেগে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরলেন, কোনও রেজিসট্যান্স নেই, পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি, ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ যে ঘটনা ঘটেছিল, তা নিয়ে দুটো মামলা হয়েছিল ঐ দিনেই। তার রায় দেওয়া হলো, জানা গ্যালো, কেউ দোষী নয়, কারোর বিরুদ্ধেই তেমন কোনও প্রমাণ নেই। এবার লাড্ডু বিতরণ হল, জয় শ্রীরাম ধ্বনী প্রতিধ্বনীত হল দিকে দিগন্তরে। সেই রায় যিনি দিলেন, যে চিফ জাস্টিস, তিনি কদিন পরেই রাজ্য সভার মনোনীত সাংসদ। জানাই ছিল রায়ের পরে নিশ্চিত শ্লোগান উঠবে, ‘ইয়ে তো পহেলি ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়।‘ উঠছে, মোহন ভাগবত বলেছেন কাশী মথুরা মুসলমানদের ছেড়ে দেওয়া উচিত। আইন নাকি আইনের পথেই চলছে, চলেছে। এবং আমরা অবাক হয়ে দেখেছিলাম বাম ডান প্রত্যেক দলের নেতারা বলেন আদালতের রায় শিরোধার্য, তাঁরা এই রায়কে দুঃখজনক বলেছেন, তার বেশি কিছু নয়। আর দেশের এক পঞ্চমাংশ মানুষ তাদের গলার স্বর আরও নীচু করেছে, তারা আরও কুঁকড়ে গেছে, তারা আরও বদ্ধ এলাকার মধ্যে ঢুকে গেছে, তাদের কারোর কারোর ক্রোধ কাজে লেগেছে, লাগবে সন্ত্রাস ছড়ানোর সংগঠনগুলোর। গোটা দেশ অবাক হয়ে দেখলো যে ঘটনাকে প্রত্যেকে অন্যায় বলছে, আদালত বলছে, বিজেপি নেতারাও বলছেন, তাঁরা ও কেউ বুক ঠুকে একথা বলেন নি যে বেশ করেছি, অটলবিহারী থেকে আদবানি প্রত্যেকেই এই ঘটনায় নাকি ছিলেন বিচলিত ও দুঃখিত। অন্যায় হয়ে গ্যালো, কিন্তু কেউ শাস্তি পেল না, কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা গ্যালো না। কত বড় ছিল এই অন্যায়? বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি, আনুমানিক ১৫২৮ এ বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন, সে মসজিদ হিন্দু মন্দির ভেঙে তোইরি হয়েছিল কিনা, তার কোনও তথ্য ইতিহাসে নেই। তবে এদেশে বহু মন্দির ভাঙা হয়েছে, বৌদ্ধ মঠ বিহার ভাঙা হয়েছে, মসজিদও ভাঙা হয়েছে, তার ওপরে তৈরি হয়েছে অন্য ধর্মের উপাসনালয়, বহু বুদ্ধবিহার গুঁড়িয়ে দিয়ে তোইরি হয়েছে মন্দির, মন্দির ভেঙে তোইরি হয়েছে মসজিদ। বিবেকানন্দ নিজেই পুরির জগন্নাথ মন্দিরের কথা বলেছেন যা ওনার মতে আগে ছিল বৌদ্ধ স্তুপ। কিন্তু সেসব হয়েছে আর তা ছিল মধুযুগীয় ব্যাপার, যেখানে আইনের শাসন মানে ছিল, রাজার শাসন, তাঁর ধর্মই ছিল রাজধর্ম, তিনিই আইন, তিনিই বিচারক, তিনিই প্রশাসক, তিনিই অভিযোগ শুনতেন, তিনিই বিচার করতেন।