У нас вы можете посмотреть бесплатно ঢাকার প্রতিরক্ষা মোঘল ত্রিভুজ জলদুর্গ | Water Fort of Dhaka City Defence System | или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса ClipSaver.ru
ঢাকার প্রতিরক্ষা মোঘল ট্রায়াঙ্গাল অভ ওয়াটার ফোর্ট ১৬৬০ সালে মোঘল সুবাহ বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত হন মীর মুহাম্মদ সায়ীদ আর্দেস্তানি। চিনতে পারছেন নামটা পড়ে? হয়তো না" তবে তাঁর অন্য নামটার সাথে বোধহয় আমরা সবাই পরিচিত -সুবেদার মীর জুমলা! ভ্রাতা আওরঙ্গজেব সাথে দিল্লীর মোঘল সিংহাসনের লড়াইয়ে পরাজিত বাংলা সুবেদার শাহ সুজাকে বাংলা থেকে হটিয়ে আরাকানের দিকে পাঠানোতে দারুণভাবে সফল হয়েছিলেন একসময়কার সফল এই নৌব্যবসায়ী। তার জন্যই বাংলার সুবেদারি পদটা এই পুরস্কার হিসেবে দিয়েছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেব! ইতিহাসের পিছনের দিকে থাকানো যাক- ১৫৭৫ সালে মোগল সেনাপতি মুনিম খানের নিকট স্বাধীন বাংলার আফগান সুলতান দাউদ খান কররানির পরাজয়ের মধ্যদিয়ে বাংলা মুঘল সাম্রাজ্যের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে দীর্ঘ ২৫০ বছরের স্বাধীন বাংলা সালতানাতের পতন হয়। শুরুর দিকে বাংলায় মোগলরা নিজেদের ক্ষমতা শক্ত করতে পারেনি, সেই সূযোগে ১৫৮৫ সনে আরাকানরাজ বাংলার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল চট্টগ্রাম দখল করে নেয়। পরে বাংলার সীমান্তে আরাকান রাজ্যের চট্টগ্রামে আরকানি ও পর্তুগিজ মিলে গড়ে তুলে :চাটিগাঁ দুর্গ, দেয়াঙ, অংগারকেল ও ফিরিঙ্গি বন্দর নামে এই দুভেদ্য ঘাঁটি গুলো। সে সময় মগ জলদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। রাজধানী ঢাকা প্রবেশ পথে তিন কিলোমিটারের মধ্যে ইছামতি, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা, মেঘনার মতো চারটি নদী। এই নদী পথে তৎকালীন বাংলার সম্পদে সমৃদ্ধ বিক্রমপুর, সোনারগাঁও ঢাকায় মগ জলদস্যুরা নিয়মিত হামলা চালাত। জলদস্যুতার সূচনা করে মগরা, মগরা মূলত আরাকানের বাসিন্দা, যারা চট্টগ্রামের কাছাকাছি বসবাস করে। পরে তাদের সাথে ভারতের দাক্ষিণাত্যের পর্তুগীজ ঘাটি গোয়া ও করমন্ডল থেকে পলাতক পর্তুগীজ আসামীরা মিলে গড়ে ওঠে এক নৃশংস জলদস্যু বাহিনী। তখন থেকেই তারা মগ/ফিরিঙ্গি /হার্মাদ নামে অধিক পরিচিত হয়ে ওঠে। এমন কোনো অপকর্ম ছিল না যা তারা করতে পারতো না।…হত্যা, ধর্ষণ, লুঠ ইত্যাদি বিষয়ে তাদের সমকক্ষ কেউ ছিল না। তাদের অত্যাচার বর্ণনা করার জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়। বলতে গেলে সে সময় তারা শয়তানের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা বাংলায় অকস্মাৎ আপতিত হয়ে বহু নগর-গ্রাম, হাট-বাজার, ভোজ বা বিবাহসভা ইত্যাদি লুঠ করে সমস্ত দ্রব্য সামগ্রী হরণ করে। যেসকল দ্রব্য হরণ করে নিয়ে যেতে পারত না, তা পুড়ে ফেলত। গ্রামের পর গ্রাম আগুনে জ্বালিয়ে দিত। হিন্দু মুসলমান, স্ত্রী পুরুষ, ধনী দরিদ্র যাকে পাইত বন্দী করত এবং তাদের হাতের পাতা ফুটা করে তার মধ্যে পাতলা বেত ঢুকিয়ে বেঁধে নৌকার পাটাতনের নিচে ফেলে নদী পথে আরাকান রাজ্যের চট্টগ্রামে নিয়ে আসত । আর খাঁচার মধ্যে মুরগীকে দানা দেওয়া হয়, তেমনি এদের জন্য সকাল ও সন্ধ্যায় কাঁচা চাল ফেলা হতো পটাতনের নিচে। এ কষ্ট অত্যাচারে অনেকে মারা যেত; যে কয়জন 'শক্ত প্রাণের লোক বেঁচে যেত তাদের চাষবাস ও অন্যান্য নিম্ন পর্যায়ে কাজের জন্য দাস হিসেবে রাখত, অথবা ভারতের দাক্ষিণাত্যে বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ইংরেজ, ফরাসি ও ডাচ বণিকদের নিকট দাস হিসেবে বিক্রয় করত। এই জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মহাকবি আলাওল। এইভাবে ক্রমে চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত দস্যুদের যাতায়াতের পথে নদীর দু'ধারে একটিও বাড়ি ছিলনা। পূর্ব বঙ্গের কত শত গ্রাম যে এইভাবে লুণ্ঠন ও অত্যাচারে জনশূন্য করেছে তার ইয়ত্তা নাই। ১৬৬০ সনে মোঘল সুবাহ বাংলায় সদ্য নিযুক্ত সুবেদার মীর জুমলা ভাবলেন, না, এইভাবে মগদস্যুদের আর পারা যাই না। তিনি ঢাকাকে রক্ষার পাশাপাশি সম্পদশালী সোনারগাঁও আর বিক্রমপুরের মতো ধনী এলাকা গুলোকে লুট থেকে রক্ষা করে চেয়েছিলেন। তাই তিনি পর্তুগিজ ও মগ দস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে বানালেন ত্রিমুখী রক্ষণনীতি। মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, ইছামতী আর ধলেশ্বরী নদীর জংশন পয়েন্ট বলে পরিচিত ছিলো বর্তমান মুন্সিগঞ্জের ইদ্রাকপুর। প্রথমে এই জায়গাকে বেছে নিলেন রণকৌশলের কেন্দ্র হিসেবে। ১৬৬১ সালের কাছাকাছি সময়ে সেখানে নির্মাণ করলেন ইন্দ্রাকপুর দুর্গ। এই দুর্গের ১০ কি.মি উজানে নারায়ণগঙ্গে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরে নির্মাণ করেন সোনাকান্দা আর হাজীগঞ্জ দুর্গ নামে আরও দুইটি দুর্গ। আর স্থলপথে শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঢাকা গেট নির্মাণ করেছিলেন। ইন্দ্রাকপুর দুর্গে মুঘল এডমিরাল আবুল হোসেনের ২০০ জাহাজ সমৃদ্ধ বিশাল নৌবহর ভেড়ানো থাকতো এই দুর্গের কাছেই। যখনই কোনো দস্যুদল ঢাকার দিকে এগোনোর চেষ্টা করতো, তখনই মুঘল সৈন্যরা ইদ্রাকপুর দুর্গ ও দুইশ জাহাজের কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ শুরু করতো। ফলে দস্যুদের হয় পালাতে হতো অথবা নদীতে ভবলীলা সাঙ্গ হতো। এই পাহাড়সম বাঁধা পেরিয়ে কোনো দস্যু জাহাজ যদি কোনোভাবে টিকে থাকতো, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরে নির্মিত সোনাকান্দা আর হাজীগঞ্জ দুর্গ থেকে চলতো কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ। ফলে দস্যু জাহাজদের ভাগ্যে লেখা হতো নদীতে ডুবে যাওয়ার নিশ্চিত ইতিহাস। মূলত দুর্গটিগুলো ইট নির্মিত উচ্চতা সম্পন্ন পুরু দেয়াল, যার মধ্যে গোলা নিক্ষেপের জন্য বহুসংখ্যক প্রশস্ত-অপ্রশস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র রয়েছে যা থেকে বন্দুক এবং হালকা কামান ব্যবহার করে জলদস্যুদের দিকে শেল নিক্ষেপ করা যেত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দুর্গের বিশাল কামান প্ল্যাটফর্ম। এই কামান প্ল্যাটফর্মের উঁচু মঞ্চে শক্তিশালী কামান নদীপথে আক্রমণকারীদের দিকে তাক করা থাকত। #travel #ইতিহাস #মোঘল #জলদুর্গ